মালদা

রাজ্যের তিন জেলায় স্কুলে স্কুলে ঘুরে মিড-ডে মিল খতিয়ে দেখলেন বাংলাদেশ থেকে আসা প্র্তিনিধির দল

শিশুদের পুষ্টির সঠিক যোগান দিতে ভারতের উপরেই ভরসা রাখল প্রতিবেশী বাংলাদেশ। সেদেশের ২৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে দেখলেন এদেশের মিড ডে মিল ব্যবস্থা। আজ তাঁরা মালদার বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখেন। স্কুলে তাঁরা মিড ডে মিলের খাবারও খান। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠকে অংশ নেন। মূলত রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতেই প্রতিনিধিদলটি এদেশে এসেছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত দলটি রাজ্যে থাকবে।

            বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন সেদেশের যুগ্মসচিব তথা বাংলাদেশ সরকারের প্রাইমারি ও মাস এডুকেশন দপ্তরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর রামচন্দ্র দাস। সেই দলে রয়েছেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টা রাডের সহ সুশীল সমাজ, শিক্ষক, বিদ্বজ্জন এবং প্রশাসনিক কর্তারা। আজ সকালে তাঁরা সবাই জেলার কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে যান। সেখানে কীভাবে মিড ডে মিল রান্না করা হচ্ছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন। রান্না করা খাবারের মান ও স্বাদ বোঝার জন্য তাঁরা নিজেরাই সেটা খেয়ে দেখেন।

            রামচন্দ্রবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশে তাঁরা স্কুল ফিডিং নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন। ওই প্রকল্পে তাঁরা প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের হাই এনার্জি বিস্কুট দেন। এখন তাঁরা পড়ুয়াদের রান্না করা খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়াদের রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। রান্না করা খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা, কী সম্ভাবনা, সেসব খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এদেশে এসেছেন। এর আগে তাঁরা দুই ২৪ পরগনা ও বীরভূমে যান। গতকাল তাঁরা দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করেন। এদেশ থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে তাঁরা নিজেদের দেশে তা কাজে লাগাতে চান। তাঁদের দলে বাংলাদেশের একাধিক জেলা থেকে প্রতিনিধি আছেন।